1. live@dainikbanglakhobor.com : দৈনিক বাংলা খবর : দৈনিক বাংলা খবর
  2. info@www.dainikbanglakhobor.com : দৈনিক বাংলা খবর :
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সুব্রত বাইন কারাগারে আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন, জাতির উদ্দেশে ভাষণে ড. ইউনূস তজুমদ্দিনে উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নে মহিলা দলের নেত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফ-জেএসএস’র থেমে থেমে চলছে গোলাগুলি, নিহত ১ কীভাবে এক জীবনে আমরা তাঁদের ঋণ শোধ করবো? জমি বিরোধে চাচার দা’র কোপে দুই ভাতিজি খুন, ভাবী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মহার্ঘ ভাতা নয়, বিশেষ প্রণোদনা পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা শেখ হাসিনার মতো কয়েকজন উপদেষ্টাও ব্যাংক লুট করছে: নুর মৌলভীবাজারে যৌথ অভিযানে বনফুলসহ ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা দেবিদ্বারে আল-ইসলাম হাসপাতালে ডা. রোজিনা’র বিরুদ্ধে অপ-সিজারিং এর অভিযোগ

একজন কারারক্ষী মাসুমের দৌরাত্ম্য!

মেহদী হাসান
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
অফিসারের ছত্রছায়ায় কারারক্ষীর দৌরাত্ম্য।

 

রাখিবো নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ ! বাংলাদেশ কারাগারের মূল স্লোগান এটি হলেও কারাগারের ভিতরে কতটা নিরাপদে থাকেন বিভিন্ন মামলার বন্ধি বা আসামিরা? কারাগারের এমন স্লোগানের সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমটি ঘটে থাকে কারাগারের কিছু অতি উৎসাহিত কারা প্রশাসনের এক পেশি মনোভাবের কারনে।

 

তেমনি গত ২৭ শে এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা কারাগারে জেল সুপার ও জেলার ফখরুদ্দিন সাহেবের অনুপস্থিতিতে কারাবন্দী দু গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার একটি হিংস্রতা মুলক ঘটনা ঘটে যায়, ফলে সাধারন বন্দিদের মনে চরম ভীতি ও আতঙ্কের একটি চিত্র ফুটে ওঠে।

উক্ত ঘটনাটিতে কারারক্ষী মোহাম্মদ মাসুম (কারারক্ষী নাম্বার – ৪১৯০৭) সম্পুর্ণরুপে একজন অপেশাদারিত্ব প্রশাসনিক আচরণের পরিচয় দেয়৷ অতি উৎসাহিত মাসুম এর দৌরাত্ম একটু ঘাটাঘাটি করলে দেখা যায় তিনি উপসহ পরিদর্শক (স্থগিত) অসীম কান্ত পাল এর খুবই আচ্ছা ভাজন (দালাল) একজন সোলজার হিসেবে কাজ করে এসেছেন বহুদিন থেকেই। এবং দীর্ঘদিন ডিআইজি সাহেবের অফিসে কর্মরত থাকার পর এই “মাসুম” চুয়াডাঙ্গা কারাগারে বদলি হয়ে আসেন। যেহেতু এতো বড় -বড় স্যারদের ফুড- ফরমাস (দালালী) খেটে এসেছেন তাই কোন রকম আইনের তোয়াক্কা না করেই দু গ্রুপের বন্দীদের উপরে তাৎক্ষণিক পেশিশক্তির একটি বাজে হামলা ঘটিয়ে বসেন। এবং বন্দিদের উপরে একপ্রকার চড়াও হয়ে দিকবেদিক না দেখেই মারধর শুরু করে দেন, এবং করে কারারক্ষী মাসুমের আঘাতে মোট চারজন বন্দী গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত হয় । এমনকি কারারক্ষী মাসুমের চাকরিগত অবস্থায় থাকাকালীন বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতাও পাওয়া যায়।

আমরা যতটুকু জানি, একজন কারারক্ষী কখনোই কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বন্দীর গায়ে হাত দিতে পারেন না। জেল কোডের নিয়ম অনুসারে কোন বন্দী কোন ধরনের অপরাধ সংগঠিত করলে জেলার এর কেস টেবিলে উপস্থিত করে একটি শাস্তির সুপারিশ বলে জেল সুপার উক্ত বন্দী কে শাস্তি প্রদান করিতে পারে। কিন্তু কারারক্ষী মাসুম অতি উৎসাহিত এবং নিজেকে স্যারদের প্রিয়- ভাজন হবার নেশায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে চারপাঁচ জন বন্দীকে মারধর করতে করতে রক্তাক্ত করে ফেলে এবং কারাগার ভিতরে নিজ দৌরাত্ম জানান দিতে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি করে ফেলে। কারারক্ষী মাসুমের ভয়ে অন্যান্য সহকর্মীরা কর্তব্যরত অবস্থায় থাকে চরম আতঙ্কে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, চাকরি কালীন সময়ে মাসুম কখনোই জেনারেল ডিউটি পালন করেনি বরঞ্চ সে তার ইচ্ছেমতো স্ট্যান্ডিং ডিউটি পালন করে এসেছেন। আর তাতেও সমস্যা হলে মাসুদের বড় স্যারেরা তো আছেননি। তাদের ব্যক্তিগত ফুড ফরমাস খাটতে খাটতেই তো সরকারের দেয়া নির্ধারিত কাজ ও সময় দুটোই পার হয়ে যাচ্ছে বরঞ্চ এতে করে একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হয়েও তার জীবন দশায় বেশ কিছু অর্থের যোগ প্রাপ্তিও ঘটেছে। চুয়াডাঙ্গা কারাগারের জেলার ফখরুদ্দিন সাহেব বদলি আদেশ পেয়ে মাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণে থাকেন নিশ্চুপ।

সূত্র থেকে আরো জানা যায়, আহত চার বন্দীদের মধ্যে সাদ্দাম এখনো কারাগারে অবস্থান করছে এবং যার কাছ থেকে পুরো ঘটনার বিবৃতি পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্ট জনেরা মনে করেন।

সর্বোপরি বলবো একজন কারা প্রশাসনের নিকট থেকে দেশের সাধারণ বন্দী কতটুকু নিরাপদ?

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট