1. live@dainikbanglakhobor.com : দৈনিক বাংলা খবর : দৈনিক বাংলা খবর
  2. info@www.dainikbanglakhobor.com : দৈনিক বাংলা খবর :
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
তিস্তা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে উদ্যোগ, সন্ত্রাসী হামলায় সংবাদদাতা পরিবারসহ মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে বাংলাদেশ জেলের নতুন নাম ‘কারেকশন সার্ভিসেস বাংলাদেশ’ বগুড়ায় মসজিদের খালে মিলল ৬ গ্রেনেড, এলাকায় আতঙ্ক অস্ত্র, গুলি বিস্ফোরক উদ্ধার, অস্ত্রের সন্ধানে পানিতে নিচে অভিযান : আটক ৩ শেখ জুলহাস উদ্দিনের অপসারণ দাবিতে উত্তাল সিদ্ধেশ্বরী কলেজ চট্টগ্রাম উদ্যানে যুবদল নেতার বিজয় মেলা: হাতবদলে কোটি টাকার বানিজ্য গাজীপুরে প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা দেশ বরণ্য সাংবাদিক রিমনের রুহের মাগফিরাত কামনায় স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী রুবেল খুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই নবনিযুক্ত শিক্ষকের ডোপ টেস্ট পজিটিভ: নিয়োগ বাতিলের সম্ভাবনা

কারা বাহিনীর ন্যায্য অধিকার বঞ্চনার ইতিহাস: পেশাদারিত্বের পুরস্কার বৈষম্য কেন?

মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সম্পাদক ও প্রকাশক
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

 

 

বাংলাদেশ জেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যুগের পর যুগ দায়িত্ব পালন করেও পদমর্যাদা ও বেতন গ্রেডে চরম বৈষম্যের শিকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাহিনীর একটি হয়েও বছরের পর বছর ধরে তারা অবজ্ঞা ও অবহেলার শিকার হয়ে আসছেন। কারা প্রশাসনের মাঠ পর্যায় থেকে শীর্ষ পদ পর্যন্ত এই বৈষম্যের নির্মম বাস্তবতা সুস্পষ্ট।

কারা মহাপরিদর্শক পদে দায়িত্ব পালনের সময়ও দ্বিতীয় গ্রেডের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকরা প্রথম গ্রেডের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। একই বৈষম্য দেখা যায় অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন্স), ডিআইজি (প্রিজন্স), সিনিয়র জেল সুপার এবং জেলার পর্যায়েও।

কারা বাহিনীর সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত অংশ হলো মাঠ পর্যায়ের কারারক্ষী থেকে শুরু করে সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর পর্যন্ত পর্যায়ের সদস্যরা। তারা চাকরিজীবনের শুরু থেকে অবসার পর্যন্ত তৃতীয় শ্রেণিতে আটকে থাকেন। যেখানে পুলিশের কনস্টেবল দশম বা নবম গ্রেডে পৌঁছে যান, সেখানে কারারক্ষীরা ১৩তম গ্রেডেও যেতে লড়াই করতে হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈষম্যের পেছনে পুরোনো ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারণা এখনও বজায় রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বারবার কারা বিভাগের আধুনিকায়নের কথা বলা হলেও প্রকৃত সংস্কার কখনও হয়নি। অথচ কারা বিভাগ শুধুমাত্র কয়েদি পাহারা দেয় না, বরং জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে। জেলখানায় ঘটে যাওয়া যেকোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের প্রস্তুত থাকতে হয়, এমনকি বিভিন্ন দুর্যোগ পরিস্থিতিতেও কারা বাহিনী বিশেষ দায়িত্ব পালন করে।

২০২৪ সালে সারাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় অন্যান্য প্রশাসনিক দপ্তরের অনেক কর্মকর্তা দায়িত্ব ছেড়ে পালিয়ে গেলেও বাংলাদেশ জেলের কেউ দায়িত্ব ছাড়েননি। কারা কর্মকর্তারা জীবন বাজি রেখে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। কিন্তু সে অবদানের সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি।

২০১৭ সালের বিতর্কিত নিয়োগ প্রজ্ঞাপনের ফলে ডেপুটি জেলারদের শতভাগ পদোন্নতির সুযোগও খর্ব হয়। উচ্চ আদালতের রায়ের অপেক্ষায় থেকে বছরের পর বছর অগ্রগতি থমকে আছে। অনেক অভিজ্ঞ কর্মকর্তা বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করেছেন।

২০২৫ সালের জুলাই মাসে কারা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত আইজি জান্নাতুল ফরহাদের নেতৃত্বে একটি প্রস্তাবনা প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তা শীঘ্রই পাঠানো হবে। কর্মকর্তারা বলছেন, এটি যদি আরেকটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো ফাইলচাপা না হয়, তাহলে বহু বছরের বৈষম্য অবসানের একটি সুযোগ তৈরি হবে।

বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, সরকারের উচিত অন্যান্য বাহিনীর মতো কারা বিভাগের জন্যও স্বতন্ত্র সার্ভিস রুল তৈরি করা। কারা বাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দিতে অবিলম্বে পদমর্যাদা ও বেতন গ্রেড উন্নীত করার পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুবা দক্ষ ও মেধাবী জনশক্তি দিন দিন হারানোর ঝুঁকি বাড়বে।

কারা বাহিনীর একজন জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা যদি পুলিশের মতো অধিকার না পাই, তাহলে দীর্ঘদিন কারাগারের ভেতরে থেকে দায়িত্ব পালনের অনুপ্রেরণা কোথায় পাবো?”

দীর্ঘদিনের বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সরকার সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি দাবী, অবিলম্বে কারা বাহিনীর বৈষম্য দূর করে যোগ্য মর্যাদা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা হোক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট