সিরিজ রিপোর্ট - ০২
বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যান সমিতি ও চক্ষু হাসপাতাল কুমিল্লার ১৭ কোটি ২২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট হিমাগারে রয়েছে বলে এমন অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে কুমিল্লায় অন্ধকল্যান সমিতির কোটি কোটি টাকা লুটপাট এর অভিযোগের শিরোনামে দৈনিক রূপালীদেশ, দেশপত্র ও সংবাদ টিভিতে সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর কুমিল্লার তত্ত্বাবধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে ২৪/০৬/২০২৫ইং তারিখে সারা দিন ব্যাপী তদন্ত করেন ফারহানা আমিন এর নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যান সমিতি, কুমিল্লার ১৭ কোটি ২২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে স্বৈরাচার সরকার আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা বাহার, মেয়ে সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা, এড. তাইফুর আলম, ডা: একেএম আব্দুল সেলিম, ডা: এমকে ডালি, ডাক্তার মাঈনুদ্দিন ইমন, ডা: রেজওয়ানা আফতাব লীরা, ডা: ফারহানা আক্তার স্নীগ্নদ্ধা, এইচ আর এডমিন সাঈদুল ইসলাম ভূইয়া সহ আরও অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পারিবারিক দুর্নীতির সিন্ডিকেট করে বিগত ১৭ বছরে লুটপাট সহ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া পারিবারিক সদস্যদের অবৈধ ভাবে নিয়োগ ও নিয়োগ বাণিজ্য করার বিশাল অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তদন্ত দ্রুত গতিতে শুরু হলেও এখনো পর্যন্ত তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছেনা কেন তার প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে তদন্ত রিপোর্ট হিমাগারে থাকার কারণে এখনো পর্যন্ত কোন তদন্তের ফলাফল দৃশ্যমান হয়নি। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় নানান রাজনৈতিক তদবির চলছে আওয়ামিলীগ দোসরদেরকে বাঁচাতে।
স্বৈরাচার সরকার আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক এমপি হাজী আ ক ম বাহার উদ্দিন বাহর তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা বাহার ও মেয়ে সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা সহ এড. আ হ ম তাইফুর আলম, এড, ফাহমিদা জেবিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, স্বৈরাচার সরকার সাবেক এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের নির্বাচনীয় ডোনার প্রদ্বীপ কুমার রাহা, ডা: গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ, অশোক বড়ুয়া, মোঃ শাহ-জান সিরাজ, মোঃ আব্দুল হালিম, ফিরুজ আলম এর নেতৃত্বে ১৭ কোটি ২২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা দুর্নীতি, পারিবারিক নিয়োগ ও নিয়োগ বাণিজ্য সহ নানান অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ:
১/ চক্ষু হাসপাতালে পরিচালনা কমিটি ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের ফ্যাসিবাদের সাথে জড়িত, ২/আড়াই কোটি টাকা সরকারি কর ফাঁকি, ৩/ জুলাই বিপ্লবের ছাত্র জনতার উপর হামলা, ৪/ ৫ই আগস্টের পর কমিটির সদস্যরা পলাতক থাকা, ৫/ বৈষম বিরোধী ছাত্রদেরকে চাঁদাবাজি তোকমা দেওয়া, ৬/ সরাসরি জুলাই আগস্টে কথিত শান্তি মিছিলে অংশগ্রহণ করে স্বৈরাচার সরকার আওয়ামীলীগকে সমর্থন করা, ৭/ ডা: আব্দুল সেলিম কর্তৃক কর্তব্যরত নার্স"কে নির্যাতন করা, ৮/ ক্রয় কমিটির দুর্নীতি, ৯/ আওয়ামী পন্থি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া, ১০/ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ও রোগীকে (এনাস্থেশিয়া - অজ্ঞান) ডাক্তার না থাকা, ১১/ সরকারি চুক্তিবদ্ধ ডিপিপির বিশাল টাকা আত্মসাৎ, ১২/ ট্রেজারি চালানের টাকা আত্মসাৎ, ১৩/ কর্মচারীদের জমানো টাকার লভ্যাংশ আত্মসাৎ, ১৪/ নিয়ম বহির্ভূত চিকিৎসক নিয়োগ, ১৫/ অবৈধ কমিটি গঠন, ১৬/ চিকিৎসক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিহীন চিকিৎসক নিয়োগ বাণিজ্য, ১৭/ নিয়ম নীতি ভঙ্গ করে পারিবারক সদস্যদেরকে নিয়োগ দেওয়া, ১৮/ সভাপতি আ হ ম তাইফুল আলম ফ্যাসিবাদের সাথে জড়িত থেকে জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে শান্তি মিছিল অংশগ্রহণ ও আর্থিক সহায়তা করার অভিযোগ, ১৯/ গঠনতন্ত্রের ১৮ অনুচ্ছেদের আহ্বায়ক কমিটি ছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করা হয় আওয়ামী লীগের দোসরদেরকে নিয়ে, ২০/ ডা: এমকে ঢালী গণজাগরণ মঞ্চের একনিষ্ঠ সহযোগীর অভিযোগ, ২১/ স্বাচিপ নেতা ডা: মাঈন উদ্দিন ঈমন কর্তৃক অপারেশনের সময় এনেস্থেশিয়ার অদক্ষতার ও অবহেলাজনিত ভুল ঔষধ প্রয়োগে রোগীর মৃত্যুসহ ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে কথিত শান্তি মিছিলে অংশগ্রহণের, হাসপাতালের গোপনীয় তথ্য বাহিরে প্রকাশ করার, ২২/ সাঈদুল ইসলাম ভুঁইয়ার জুলাই আন্দোলনে আন্দোলনরত ছাত্রদের হাসপাতালে লিথ্যাল ইঞ্জেকশন দিয়ে হত্যার হুকুম দেয়া, ২৩/ হাসপাতাল কাউন্সিলর আব্দুল হানান, একাউন্স অফিসার আবুল হোসেন, ড্রাইভার আবুল কালাম, প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ শাহ-জাহান, প্যারামেডিক আবুল খায়ের, রিফ্রাকশনিষ্ট দেলোয়ার হোসেন কর্তৃক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর সরাসরি হামলা ও প্যারামেডিক পাস না করেও চাকরি করা অভিযোগ রয়েছে হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে।
সহ বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সঙ্গবদ্ধ সিন্ডিকেটের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে: ল্যান্স ক্রিয়, বহিঃ বিভাগীয় রোগীর চিকিৎসা বাবত অবৈধ আয়, সরকারি প্রজেক্ট বাবত মোট তিনটি খাদে মোট: ১৭ কোটি ২২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও অন্ধকল্যান সমিতির কুমিল্লার চক্ষু হাসপাতালে বিভিন্ন ডাক্তারগণ বিরুদ্ধে রোগীকে এই হাসপাতালে ভালো অপারেশন হয় না বলে প্রাইভেট হাসপাতাল ও প্রাইভেট চেম্বারে নিয়ে চক্ষু চিকিৎসা করারও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও চক্ষু হাসপাতালের এইচ আর এডমিন সাঈদুল ইসলাম ভূইয়া আওয়ামী দোসর কানাডা পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। অনুসন্ধান চলমান।
𝐄𝐱𝐞𝐜𝐮𝐭𝐢𝐯𝐞 𝐄𝐝𝐢𝐭𝐨𝐫 : 𝐃𝐞𝐰𝐚𝐧 𝐈𝐬𝐡𝐭𝐢𝐚𝐪 𝐌𝐚𝐡𝐦𝐮𝐝, 𝐍𝐞𝐰𝐬 𝐄𝐝𝐢𝐭𝐨𝐫: 𝐊 𝐌 𝐒𝐡𝐨𝐰𝐤𝐚𝐭 𝐇𝐚𝐲𝐚𝐭, 𝐄𝐝𝐢𝐭𝐨𝐫 & 𝐏𝐮𝐛𝐥𝐢𝐬𝐡𝐞𝐫 : 𝐌𝐝. 𝐙𝐚𝐤𝐢𝐫 𝐇𝐨𝐬𝐬𝐚𝐢𝐧 𝐎𝐟𝐟𝐢𝐜𝐞 : 𝐒𝐚𝐝𝐡𝐚𝐫𝐚𝐧 𝐁𝐢𝐦𝐚 𝐒𝐚𝐝𝐚𝐧 (𝟒𝐭𝐡 𝐟𝐥𝐨𝐨𝐫) 𝟐𝟒-𝟐𝟓, 𝐃𝐢𝐥𝐤𝐮𝐬𝐡𝐚𝐤 𝐂/𝐀, 𝐃𝐡𝐚𝐤𝐚-𝟏𝟎𝟎𝟎
𝐂𝐞𝐥𝐥 : 𝟎𝟏𝟕𝟑𝟏 𝟓𝟕𝟒𝟓 𝟎𝟗, 𝟎𝟏𝟔𝟐𝟑 𝟖𝟖𝟖 𝟖𝟔𝟐 𝐌𝐚𝐢𝐥 :𝐢𝐧𝐟𝐨𝐛𝐚𝐧𝐠𝐥𝐚𝐤𝐡𝐨𝐛𝐨𝐫@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦,
𝐖𝐞𝐛 : 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐚𝐤𝐛𝐚𝐧𝐠𝐥𝐚𝐤𝐡𝐨𝐛𝐨𝐫.𝐜𝐨𝐦
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত