চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সহকারী অধ্যাপক পদে নবনিযুক্ত দুই প্রার্থীর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফলাফল এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, নীতিমালা অনুযায়ী এ ধরনের ক্ষেত্রে নিয়োগ বাতিলের বিধান রয়েছে, এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৫০ জন প্রার্থী অংশ নেন এবং তিনজন প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি ডোপ টেস্ট করানো হয়, যা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের বরাতে জানা যায়, গত বুধবার (৬ আগস্ট) দুই প্রার্থী ডোপ টেস্টে অংশ নেন এবং তাদের রিপোর্টে মাদকের উপস্থিতি ধরা পড়ে। চিকিৎসা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিষয়টি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “ডোপ টেস্টে পজিটিভ কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পদে যোগদান করতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, তাদের নিয়োগ বাতিল হবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিশ্চিত হওয়ার জন্য দুই প্রার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবারও ডোপ টেস্ট করাতে পাঠানো হবে।
তবে সংশ্লিষ্ট দুই প্রার্থীই ডোপ টেস্টে মাদক গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের একজন বলেন, “আমি নাট্যকলা বিভাগ থেকে মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছিলাম এবং নিয়োগ পরীক্ষাতেও প্রথম হই। আমি কখনোই মাদক গ্রহণ করিনি। এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।”
অন্যজন জানান, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি জীবনে কখনো মাদক গ্রহণ করিনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে আমি আবার পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত।”
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নিয়োগের স্বচ্ছতা ও মাদকমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত ইতিবাচক। তবে প্রার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি আরও গভীর তদন্তের দাবি রাখে।
প্রয়োজনে প্রতিবেদনটির পত্রিকা উপযোগী হেডলাইন, লে-আউট বা পিডিএফ আকারে তৈরি করে দিতে পারি। বললেই প্রস্তুত করে দিচ্ছি।