1. live@dainikbanglakhobor.com : দৈনিক বাংলা খবর : দৈনিক বাংলা খবর
  2. info@www.dainikbanglakhobor.com : দৈনিক বাংলা খবর :
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০২:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সুব্রত বাইন কারাগারে আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন, জাতির উদ্দেশে ভাষণে ড. ইউনূস তজুমদ্দিনে উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নে মহিলা দলের নেত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফ-জেএসএস’র থেমে থেমে চলছে গোলাগুলি, নিহত ১ কীভাবে এক জীবনে আমরা তাঁদের ঋণ শোধ করবো? জমি বিরোধে চাচার দা’র কোপে দুই ভাতিজি খুন, ভাবী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে মহার্ঘ ভাতা নয়, বিশেষ প্রণোদনা পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা শেখ হাসিনার মতো কয়েকজন উপদেষ্টাও ব্যাংক লুট করছে: নুর মৌলভীবাজারে যৌথ অভিযানে বনফুলসহ ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা দেবিদ্বারে আল-ইসলাম হাসপাতালে ডা. রোজিনা’র বিরুদ্ধে অপ-সিজারিং এর অভিযোগ

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলা নিরপরাধ দাবি করে প্রধান অভিযুক্ত বললেন, ‘ওই সময় কাজে-কর্মে বাইরে ছিলাম’

বাংলা খাবর ডেস্ক
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
সাক্ষ্য গ্রহণের শুনানিতে আদালতে আনা হয়েছে আসামিদের। আজ সোমবার মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে
মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। শুনানি শেষে কারাগারে ফেরত যাওয়ার সময় প্রধান অভিযুক্ত নিহত শিশুর বোনের শ্বশুর বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা তদন্ত করেন। ওই সময় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। আমার বিটার বউরে (ছেলের স্ত্রী) ধরেন। এই কাজ ওই করছে। আমরা অপরাধী না। কোনো দিন শুনছেন বাপ–বিটা (বাবা–ছেলে) এক সাথে ধর্ষণ করে? আমরা সবাই ওই সময় কাজে-কর্মে বাইরে ছিলাম। খবর পাইছি, খবর পায়ে বাড়িতে আইছি।’

আদালত সূত্রে জানা য়ায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণের শুনানি শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক (শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়ার আগে যার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল), ১১ বছরের এক শিশুসহ তিনজনের সাক্ষ্য নেন আদালত।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম ও আসামিপক্ষের আইনজীবী সোহেল আহম্মেদ অংশ নেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন চার আসামি—শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, বোনের স্বামী ও ভাশুর।

শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ আদালত তিনজন আসামির সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। আগামীকাল আবার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। আমরা আশা করছি আগামীকাল ১০ জন সাক্ষীকে উপস্থিত করতে পারব। আগামীকাল অন্য কোনো মামলার সাক্ষী থাকবে না, শুধু এই মামলার সাক্ষী থাকবে। আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত এই মোকদ্দমার বিচার শেষ করা যায়।’

১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ১৭ এপ্রিল মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয় এবং ২০ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। এর আগে গত ১৫ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে শিশুটির বোনের শ্বশুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি বলেন, ৬ মার্চ সকালে বোনের স্বামীর কক্ষে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন।

মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র বিশ্লেষণ করে জানা যায়, আসামির জবানবন্দির সঙ্গে বাদীর এজাহারে কিছু অমিল রয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনা ঘটেছিল ৫ তারিখ (মার্চ) দিবাগত রাতে এবং শিশুটির বোনের স্বামী ঘরের দরজা খুলে দেওয়ার পর তাঁর বাবা শিশুটিকে বাইরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ঘটনা ঘটেছে ৬ মার্চ সকালে, শিশুটির বোনের কক্ষে। এ সময় শিশুটির বোন ওই বাড়ির মধ্যেই ছিলেন।

শিশুটি বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এর আগে ৮ মার্চ শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট