আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ১৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে, যা সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার পর পরবর্তী বছরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘স্পষ্টীকরণ’ পরিপত্রে এমন বিধান ছিল, যার মাধ্যমে একাধিকবার টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উচ্চতর গ্রেড থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এই বিধানকে আপিল বিভাগ অবৈধ ঘোষণা করেছে।
রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল জানান, এই রায়ের ফলে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী উপকৃত হবেন। যারা ২০১৫ সালের আগে এক বা একাধিক টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পেয়েছিলেন, তারা এখন দুটি উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার সুযোগ পাবেন।
হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শেষে রিটকারীদের পক্ষে রায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলেও, আপিল বিভাগ সংশোধিত রায়ে পূর্বের রায় বহাল রেখেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রায় দেশের সরকারি চাকরির বেতন কাঠামোর ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন বয়ে আনবে।
সরকারি কর্মকর্তারা আশা করছেন, বকেয়া বেতন ও অন্যান্য সুবিধাও পুনর্বিবেচিত হবে এবং দীর্ঘদিনের বঞ্চনা শীঘ্রই কাটিয়ে উঠতে পারবেন।